ম্যাচিউরিটি মানে কি ? ম্যাচিউরিটি কত প্রকার ও কি কি - ম্যাচিউরিটি হওয়ার উপায়
ম্যাচিউরিটি (Maturity)
- ম্যাচিউরিটি মানে কি
- ম্যাচিউরিটি কত প্রকার ও কি কি
- ম্যাচিউরিটি হওয়ার উপায়
- কিভাবে বুঝবেন আমি ম্যাচিউরিটি কি না
ম্যাচিউরিটি মানে কি
ম্যাচিউরিটি শব্দটির মানে হচ্ছে পরিপক্কতা; আপনি আপনার আশেপাশের চোখ দিলে দেখবেন যে অনেক ছোট বয়সের মানুষ আছে যারা অনেক ম্যাচিউর, আবার কিছু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ আছে যাদের কোন ম্যাচুরিটি নেই ।
ম্যাচিউরিটি কত প্রকার ও কি কি
ম্যাচিউরিটি আসলে চার ধরনের Physical maturity, Mental maturity, Emotional maturity এবং Spiritual maturity এগুলো বাংলা বলতে বুঝায়- শারীরিক পরিপক্কতা, মানসিক পরিপক্কতা, ইমোশনাল পরিপক্কতা ও আরধাদিক পরিপক্কতা।
কোন কোন বিষয়গুলা আমাদের মধ্যে আসলে আমরা ম্যাচিউরিটি হইছি এই বিষয়টা আমাদের আশেপাশের মানুষজন বলে। আজ সেই বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
ম্যাচিউরিটি হওয়ার উপায়
ম্যাচিউরিটি বান মানুষের মধ্যে প্রথম যে গুন তার মধ্যে থাকবে, সে দায়িত্ব নিতে ভয় পাবেনা। সে তার দায়িত্ব চেষ্টা অনুযায়ী করে থাকবে, সে কখনোই দায়িত্ব ছেড়ে পালাতে চাইবে না।
কোন ম্যাচিউরিটি বান মানুষ কথা বলার সময় ব্যালেন্স ভাবে কথা বলবে। কারো সাথে কথা বলতে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই কথা বলবে, কোন জায়গায় অযথায় ওভার পরিমাণ কথা বলবে না।
যারা আসলে ম্যাচিউর মানুষ তারা কোনো সমাবেশে কথা বলার সময় তাদের যতটুকু কথা বলার প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই কথা বলে। আর বাকি সময়টা সে মনোযোগ সহকারে শোনে।
একজন ম্যাচিউর মানুষ কারো সাথে হুট করে ঝগড়া করতে যাবে না, একজন ম্যাচিউর মানুষ হুট কারে গায়ে হাত দিতে যাবে না। একজন ম্যাচিউর মানুষ পৃথিবীর সকল প্রাণীকে ভালোবাসে।
তারা এটা জানে যে নিজের জীবন যতটা ইম্পরট্যান্ট ঠিক ততটাই পৃথিবীর সকল প্রাণীর জীবন তার কাছে ইম্পরট্যান্ট। এক কথায় তারা অন্যের জীবনকে মূল্য দিতে জানে। তারা ছোট বড় সকলকে ভালোবাসতে সহমর্মিতা করে।
একজন ম্যাচিউর মানুষ সব সময় প্রমিস করো কথা রাখে। যারা ম্যাচিউর মানুষ তারা কোন জায়গায় বন্ধুদের সাথে অযথা বসে সময় নষ্ট করবেন না। তারা সময়ের মূল্য দিতে জানে প্রয়োজন ছাড়া অযথা সময় নষ্ট করে না।
একজন ম্যাচিউর মানুষ মনে করে পৃথিবীর সবকিছু সে জানেনা, মানুষ পৃথিবীর সব কিছুই জানে না এটাই স্বাভাবিক। এই বিষয়টা মেনে নেওয়া ম্যাচিউর বান মানুষের পরিচয়। তারা শুধু তাদের লক্ষ্য কে দেখবে আর সেটা পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করবে।
একজন ম্যাচিউর মানুষ কাউকে ইন্টারফেয়ার করবে না, কারো পার্সোনাল ব্যাপারে নাক গলাবে না। নিজের কাজের প্রতি ধৈর্য স্থির থাকবে।
কিভাবে বুঝবেন আমি ম্যাচিউরিটি কি না
তোমার ফ্যামিলি তোমাকে নিয়ে চিন্তা করবেনা তুমি তাদেরকে নিয়ে চিন্তা করবে তাহলে বুঝবে তোমার মধ্যে ম্যাচিউরিটি রয়েছে।
তোমার পরিবারের কারো সাথে ঝগড়া করবে না বরং বড়দের কথা যেমন বাবা-মা তাদের কথা মেনে চলবে এবং ছোট ভাই বোনদের শ্রদ্ধা খুব ভালোবাসা থাকবে।
কোন কিছুতে কষ্ট পেলে সোশ্যাল মিডিয়াতে কষ্টের স্ট্যাটাস দিবে না, অন্য মানুষ ফিলিংস এ আছে না কষ্টে আছি তার ব্যাপারে না জেনে না শুনে তাকে হাট করবে না।
সব ভালই আপনার ভালো নয় এই কথাটি যখন আপনি বুঝবেন, সকল মানুষের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য ফলো করবেন। সেদিন ভাববেন আপনার মধ্যে ম্যাচিউরিটি আছে।
বেশি কথা না বলে কোথায় মনোযোগী হবেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন, সেদিন ভাববেন আপনার মধ্যে ম্যাচিউরিটি আছে।
যে দিন শিক্ষিত ও জ্ঞানী মানুষের পার্থক্য বুঝবে, নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা থাকবে যেকোনো কাজ অনেক ধৈর্য সহকারে করবে।
নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সেটার প্রতি মনোযোগী হয় থাকতে পারা ম্যাচিউরিটি অন্যতম পরিচয়।